আমি সেই ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ফ্যান।

 একটা তেতু সত্য উপস্থাপন করি চলুন, আমি সেই ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ফ্যান। রোনালদো আজীবন পর্তুগালের "ওয়ান ম্যান আর্মি" ছিলেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড থেকে স্পেন সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ফ্যান ফলোয়ার তাকে অনুসরণ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফলোয়ারের সংখ্যার ধারেকাছেও নেই মেসি - নেইমারদের মতো তারকার।

কতশত রাত আনন্দে ভাসিয়েছেন আমাদের তা আমরা ভালো করেই জানি। ইউনাইটেডকে চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতিয়ে মাদ্রিদে এলেন, এখানে এসে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, ব্যালন ডি ওর সবকিছুই জিতলেন।
পর্তুগাল টিমে বরাবরই একাই লড়াই করেছেন, তাকে সহযোগিতা করার মতো তারকা পর্তুগাল দলে কখনোই ছিলো না তেমন একটা।
২০২২ এর কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগাল তাদের ফুটবল ইতিহাসের সেরা টিমই নিয়ে আসছে। একসাথে এত পজিশনে এত তারকা এর আগে কখনোই পায় নি রোনালদোর পর্তুগাল। কিন্তু যখন এত ভালো ভালো সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তার দলে পেলেন, ততদিনে তিনি নিজে ক্যারিয়ারের বিদায় বেলায় এসে পড়েছেন, বয়সের ভাড়ে নিজের মতো পারফরম্যান্স ও নুইয়ে পড়েছে। এত এত মিস ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো করবেন, তা হয়তো তাকে যারা পছন্দ করে না, তারা ও ভাবে নি।
ভায়োলিনের বিষাক্ত সুরের মতো রোনালদোর বিদায়ের সুরও বেজে গেছে। হয়তো এই বিশ্বকাপের পর দলকে বিদায় বলে দিতে পারেন। সব কিছুর শেষ আছে, রোনালদোকে ও একদিন ফুটবল ছেড়ে দিতে হবে, আমাদের এখন থেকেই এই তেতু সত্যটা মেনে নিতে হবে।
বড়রা বুড়ো হলে শিশুর মতো হয়ে যায়, শিশুসুলভ আচরণ করে, শিশুদের মতোই ভুল করে, রোনালদোও বয়সের ভারে শিশুর মতো ভুল করে যাচ্ছেন। এটা এই বয়সে হওয়াটায় অস্বাভাবিক নয়। এখন উনার কাছে আর আমরা আগের সেই স্পিডি, এগ্রেসিভ, ভয়ংকর রোনালদোকে দেখতে পারবো না। এই সত্যটা যতদ্রুত আমরা রোনালদো ফ্যানরা মেনে নেবো তত কষ্ট কম হবে। রোনালদোর কাছে আর বেশি কিছু আশা না করে জাস্ট উপভোগ করুন...
৮০০+ গোল, ৫টা চ্যাম্পিয়নস লীগ, ৫ টা ব্যালন ডির, ১টা ইউরো কাপ, ১টা ন্যাশন্স লীগ ট্রফি, ৪টি গোল্ডেন বুট, ৬০টি হ্যাট্রিকের মালিকের কাছে আর কি আশা করবেন...?

Comments

Popular posts from this blog

চোখেরজল -------সরওয়ার স্যার

অবিভাবক ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ না হওয়ার ব্যাপারে কতিপয় হাদীস:

আজ ফরেক্স ওয়েবিনার XM এর সৌজন্যে