অবিভাবক ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ না হওয়ার ব্যাপারে কতিপয় হাদীস:
১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
ﻻ ﻧﻜﺎﺡ ﺇﻻ ﺑﻮﻟﻲ
২) ﻻ ﺗﺰﻭﺝ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ، ﻭﻻ ﺗﺰﻭﺝ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻧﻔﺴﻬﺎ
“কোন মহিলা অপর মহিলাকে বিবাহ দিতে পারবে না। সে নিজেও নিজের বিবাহ দিতে পারবে না।” (মিশকাত, ইবনে মাজাহ)
৩) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেনঃ
أَيُّمَا امْرَأَةٍ لَمْ يُنْكِحْهَا الْوَلِيُّ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ...
‘‘যে মেয়েকে তার অভিভাবক বিয়ে না দিবে [সে নিজে বিয়ে করলে] তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল।’’ [হাদীসটি ইবনু মাজাহ্ বর্ণনা করেছেন, হাদীসটি সহীহ্, দেখুন ‘সহীহ্ ইবনু মাজাহ্ (১৮৭৯)।
৪. অন্য বর্ণনায় আয়েশা হতে বর্ণিত হয়েছে রসূল সা. বলেছেনঃ
أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَكَحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهَا فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
‘‘যে মেয়েই তার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিয়ে করবে তার বিয়ে বাতিল। এ কথাটি তিনবার উল্লেখ করেন।’’ [এ ভাষায় হাদীসটি ইমাম আবূ দাঊদ (২০৮৩), তিরমিযী (১১০২) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি সহীহ্, দেখুন, সহীহ্ আবী দাঊদ, সহীহ্ তিরমিযী, সহীহ্ জামে‘ইস সাগীর (২৭০৯) ও ‘মিশকাত (৩১৩১)]।
এ সকল হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, অবিভাবগণ ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ নয়।
অনেক ছেলে-মেয়ে চুটিয়ে প্রেমে লিপ্ত থাকে অবশেষে পিতামাতা এবং পরিবারের সকলের প্রত্যাশার গুড়ে বালি দিয়ে মেয়েটি এক দিন বলে যে, উমুকের সাথে তার কোর্ট মেরেজ হয়ে গেছে!! তারপর হয় শুরু হয় দু পরিবারের মাঝে মন মালিন্য, সামাজিক বিশৃংখলা অথবা অপারগ হয়ে পিতামাতা তাদের কষ্ট ও দীর্ঘশ্বাসকে বুকের মধ্যে দাফন করে সে বিয়েকে মেনে নেয়!!
অথবা দুজন ছেলেমেয়ে অবৈধ প্রেমের একপর্যায়ে দুজনে বিবাহ বহির্ভূত লিভটুগেদারের মত জঘন্য পথ বেছে নেয় কিন্তু সামাজিকতা রক্ষার স্বার্থ তারা প্রচার করে যে, তাদের কোর্ট মেরেজ হয়ে গেছে!!
এভাবে আরও কত ধরণের অন্যায়-অপকর্ম চলছে কথিত এই কোর্ট মেরেজকে কেন্দ্র করে তার কোন ইয়োত্তা নাই। অথচ ইসলাম এ সকল অপকর্মের রাস্তা বন্ধ করতে পিতা বা অভিভাবকের অনুমতিকে বিয়ের অন্যতম শর্ত হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছে।
আল্লাহু আলাম।
Comments
Post a Comment