একজন ভাইয়ের কথা , মান্থলি স্যালারি যার ৮ লাখ টাকা।
গত তিন চারদিন আগে একজন ভাইয়ের কথা শুনলাম, মান্থলি স্যালারি যার ৮ লাখ টাকা। বয়সে হয়তো আমার চেয়ে অল্প কয়েক বছরেরই বড় হবেন। স্কুল ফ্রেন্ড আর ছোটবেলার খেলার সাথীদের কথা যদি চিন্তা করি, মান্থলি ইনকাম আমার সবচেয়ে কম। এতই কম যে, তাদের সাথে তুলনাও করা চলে না। মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি, সানিন! তোমার মন খারাপ হয়? সামান্য দেরি না করেই উত্তর আসে, হয় না।
সমবয়সী কেউ যখন চোখের সামনে দিয়ে এলিয়ন প্রিমিও হাঁকায়, আল্লাহ সাক্ষী কখনই মনে হয় না, আমার যদি একটা থাকতো!
এ প্রতিযোগিতায় আমি আগেই হার স্বীকার করে নিয়েছি, খারাপ লাগার কথাও না।
তবে আমার নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়, আমি আমার থেকে বয়সে ছোট কাউকে যখন দেখি, দ্বীনি ইলমে সে আমার থেকে অনেক অগ্রসর। যখন কারো ব্যপারে শুনি, গত ছয় মাসে তার কখনো তাহাজ্জুদ ছুটে নি, খুব ছোট লাগে নিজেকে।
আমার এক সহকর্মী। এক সময়ের হিফযের সাথী। তাকে দেখিয়ে, ছোট বেলা থেকেই আব্বা বলতো, ওর মত কেন হতে পারিস না। যতক্ষন জেগে থাকতো, অনবরত তার ঠোট নড়তো। হাফিয এই বন্ধুর তিলাওয়াত ছাড়া অবসর সময় কেটেছে, এরকম দেখা যেতো না খুব সহজে।
ঈর্ষা হিংসা হীনমন্যতা আমাদের সবার মাঝেই আছে। ক্ষেত্রগুলোতে কেবল পার্থক্য। দুনিয়ার ব্যপারে ঈর্ষা আমাকে আপনাকে না পাওয়া আর অতৃপ্তদের দলেই রাখবে আজীবন। নদীর এ-কুল আজীবন ও-কুলের কথা ভেবে আফসোসই করবে। এটাই বাস্তবতা।
তবে আখিরাতের ব্যপারে যদি ঈর্ষা হয়, এ ঈর্ষারও মুল্যায়ন করা হবে। যদি নাও হতে পারি তাদের মত, অন্তত কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে এতটুকু তো বলা যাবে,
আল্লাহ! আপনার প্রিয় বান্দাদের মত হতে পারি নি। তবে তাদের ভালবাসতাম। তাদের মত হতে চাইতাম। আমাকে তাদের সাথেই রাখুন।
Comments
Post a Comment